বাঙালি মিষ্টি - রসগোল্লা
বাড়িতে রসগোল্লা বানাবার প্রণালী
======================
টাইম - ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট
উপাদান
---------
রসগোল্লার জন্য
- ১ লিটার খাঁটি গরুর দুধ বা হোল/ফুল ক্রিম দুধ (Amul Gold)
- ১ চা চামচ ময়দা
- ১ চা চামচ গুঁড়ো দুধ
- ১ চা চামচ গোলাপ জল
- ১ চা চামচ চিনি
- ১টা পাতি লেবু বা ১০০ গ্রাম টক দই
- পরিষ্কার সুতি কাপড়
রসগোল্লার রসের জন্য (চিনির সিরাপের) জন্য
- ৫০০ গ্রাম চিনি
- দেড় (1.5) লিটার জল
পদ্ধতি
------
প্রথমে ছানা তৈরী করে নিন
- একটি প্যানে দুধ ফোটান।
- দুধ ফুটতে শুরু করলে একটু একটু করে পাতি লেবুর রস বা টক দই দিতে থাকুন যতক্ষণ না ছানা কাটতে শুরু করে। ছানা কাটার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, আপনি দেখবেন দুধটা একটি সবুজ তরল ও ছানায় পরিনত হয়েছে।
- আপনি ফোটানো বন্ধ করুন ও ছানাকে একটা পরিষ্কার সুতি কাপড়ে করে ঠান্ডা জলে (কলের জল ও চলবে ) ধুয়ে নিন, যাতে এটির রান্না প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। এটা পাতি লেবুর টকটা ও সরাতে সাহায্য করে।
[মনে রাখবেন ছানা জলদি ঠান্ডা না করলে তা শক্ত হয়ে যাবে আর রসগোল্লা ভালো হবে না]
- ছানা ধোয়া হয়ে গেলে, কাপড়টাতে পাক দিয়ে ছানা থেকে জল নিংড়ে বার করে দিন
ছানার গোল্লা তৈরি করা
- ছানাকে এবার একটা বড়ো প্লেটে হাতের আঙুলে করে মাখতে থাকুন। আমরা ছানাকে মাখতে থাকবো যতক্ষণ না এটা মসৃন হয়ে যায় আর ছানার ভিতর দানা দানা না থাকে। বেশি চাপ দেবেননা, তাহলে ছানা মসৃন হবার আগেই ঘি বার হয়ে যাবে।
[এই মসৃন করার প্রক্রিয়া আমার লেগেছে ১০ মিনিট ]
- ছানা মসৃন হয়ে গেলে তাতে এবার এক চা চামচ ময়দা ,এক চা চামচ গুঁড়ো দুধ আর এক চা চামচ চিনি দিয়ে আরো মেখে নিন। আপনি চাইলে একটু গোলাপ জল দিতে পারেন। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণ যেন খুব ভালো হয়।
- ছানা মাখানোর মাঝে আপনি স্টোভে রসগোল্লার রস তৈরি করার জন্য একটা বড়ো কড়াতে জল ফোটাতে থাকুন। কড়াটি এমন মাপের হয় যাতে রসগোল্লাগুলো ভালো ভাবে ফুলতে পারে। জল ফুটতে আরম্ভ হলে এতে চিনি দিন ও ফোটাতে থাকুন। [এটা আপনি ছানার গোল্লা পাকানো হয়ে গেলেও করতে পারেন]
- এবার পরিমান মতো ছানা নিয়ে গোল গোল ছানার গোল্লা পাকাতে হবে। দু হাতের তালু দিয়ে গোল্লাগুলো ভালো ভাবে পাকান যাতে এর গায়ে কোনো ফাটা ফাটা দাগ না থাকে ও মসৃন হয়। ঘি থাকার কারণে গোল্লাগুলো চক চক করবে।
রসগোল্লা রান্না
- জলে চিনি সব গুলে গেলে আঁচটা মিডিয়াম করে দিন ও রসটা ফুটতে দিন [৩ মিনিট মতো]
- এবার ছানার গোল্লাগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে দিন, সাবধানে ছাড়ুন যাতে গোল্লা ভেঙে না যায়।
- পাত্রটি এবার ঢেকে দিন আর আঁচটা একটু বাড়িয়ে দিন। প্রায় ২০ মিনিট ফুটতে দিন,।
[খেয়াল রাখবেন রস কমে গিয়ে তলায় ধরে না যায়]
[রসগোল্লার গোলাগুলো যাতে চিনির রসে ভালো করে ডুবে যায়, অল্প একটু ময়দা গুলে রসে দিতে পারেন]
- ২০ মিনিট ফোটানো হয়ে গেলে আপনি ঢাকনাটা খুলে দিন, দেখবেন রসগোল্লা গুলো প্রায় দিগুণ হয়ে গেছে ।
- একটা রসগোল্লা তুলে দুটো আঙ্গুল দিয়ে টিপে দেখে নিন ওটা ঠিক ঠাক রান্না হয়েছে কিনা। ঠিক রান্না হলে ওটা নরম তুলতুলে হয়ে যাবে, একটু আঙুলের চাপে চুপসে যাবে, চাপ শিথিল করলে আবার ফুলে উঠবে। রসগোল্লার গাগুলো একটু ফেটে ফেটে যাবে। আপনার রান্না শেষ!
- স্টোভ বন্ধ করুন, রান্না প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ১০০ মিলি জল ফুটন্ত রসে ঢেলে দিন। কিন্তু রসগোল্লাগুলো ওই গরম রসে থাকতে দিন প্রায় ২-৩ ঘন্টা। বেশিক্ষন রাখলে ক্ষতি নেই। আপনার রসগোল্লা খাওয়ার জন্য তৈরি।
রসগোল্লা রান্না দেখতে সহজ কিন্তু একটা জটিল পদ্ধতি, প্রথমবারে আপনি তেমন সফল নাও হতে পারেন, তাই বার দুই তিনেক আপনাকে চেষ্টা করতে হতে পারে।
এই পোস্টটির ইংরেজি ভার্সন দেখতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন
======================
টাইম - ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট
রেসিপির ভিডিও
উপাদান
---------
রসগোল্লার জন্য
- ১ লিটার খাঁটি গরুর দুধ বা হোল/ফুল ক্রিম দুধ (Amul Gold)
- ১ চা চামচ ময়দা
- ১ চা চামচ গুঁড়ো দুধ
- ১ চা চামচ গোলাপ জল
- ১ চা চামচ চিনি
- ১টা পাতি লেবু বা ১০০ গ্রাম টক দই
- পরিষ্কার সুতি কাপড়
রসগোল্লার রসের জন্য (চিনির সিরাপের) জন্য
- ৫০০ গ্রাম চিনি
- দেড় (1.5) লিটার জল
পদ্ধতি
------
প্রথমে ছানা তৈরী করে নিন
- একটি প্যানে দুধ ফোটান।
- দুধ ফুটতে শুরু করলে একটু একটু করে পাতি লেবুর রস বা টক দই দিতে থাকুন যতক্ষণ না ছানা কাটতে শুরু করে। ছানা কাটার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে, আপনি দেখবেন দুধটা একটি সবুজ তরল ও ছানায় পরিনত হয়েছে।
- আপনি ফোটানো বন্ধ করুন ও ছানাকে একটা পরিষ্কার সুতি কাপড়ে করে ঠান্ডা জলে (কলের জল ও চলবে ) ধুয়ে নিন, যাতে এটির রান্না প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। এটা পাতি লেবুর টকটা ও সরাতে সাহায্য করে।
[মনে রাখবেন ছানা জলদি ঠান্ডা না করলে তা শক্ত হয়ে যাবে আর রসগোল্লা ভালো হবে না]
- ছানা ধোয়া হয়ে গেলে, কাপড়টাতে পাক দিয়ে ছানা থেকে জল নিংড়ে বার করে দিন
ছানার গোল্লা তৈরি করা
- ছানাকে এবার একটা বড়ো প্লেটে হাতের আঙুলে করে মাখতে থাকুন। আমরা ছানাকে মাখতে থাকবো যতক্ষণ না এটা মসৃন হয়ে যায় আর ছানার ভিতর দানা দানা না থাকে। বেশি চাপ দেবেননা, তাহলে ছানা মসৃন হবার আগেই ঘি বার হয়ে যাবে।
[এই মসৃন করার প্রক্রিয়া আমার লেগেছে ১০ মিনিট ]
- ছানা মসৃন হয়ে গেলে তাতে এবার এক চা চামচ ময়দা ,এক চা চামচ গুঁড়ো দুধ আর এক চা চামচ চিনি দিয়ে আরো মেখে নিন। আপনি চাইলে একটু গোলাপ জল দিতে পারেন। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণ যেন খুব ভালো হয়।
- ছানা মাখানোর মাঝে আপনি স্টোভে রসগোল্লার রস তৈরি করার জন্য একটা বড়ো কড়াতে জল ফোটাতে থাকুন। কড়াটি এমন মাপের হয় যাতে রসগোল্লাগুলো ভালো ভাবে ফুলতে পারে। জল ফুটতে আরম্ভ হলে এতে চিনি দিন ও ফোটাতে থাকুন। [এটা আপনি ছানার গোল্লা পাকানো হয়ে গেলেও করতে পারেন]
- এবার পরিমান মতো ছানা নিয়ে গোল গোল ছানার গোল্লা পাকাতে হবে। দু হাতের তালু দিয়ে গোল্লাগুলো ভালো ভাবে পাকান যাতে এর গায়ে কোনো ফাটা ফাটা দাগ না থাকে ও মসৃন হয়। ঘি থাকার কারণে গোল্লাগুলো চক চক করবে।
রসগোল্লা রান্না
- জলে চিনি সব গুলে গেলে আঁচটা মিডিয়াম করে দিন ও রসটা ফুটতে দিন [৩ মিনিট মতো]
- এবার ছানার গোল্লাগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে দিন, সাবধানে ছাড়ুন যাতে গোল্লা ভেঙে না যায়।
- পাত্রটি এবার ঢেকে দিন আর আঁচটা একটু বাড়িয়ে দিন। প্রায় ২০ মিনিট ফুটতে দিন,।
[খেয়াল রাখবেন রস কমে গিয়ে তলায় ধরে না যায়]
[রসগোল্লার গোলাগুলো যাতে চিনির রসে ভালো করে ডুবে যায়, অল্প একটু ময়দা গুলে রসে দিতে পারেন]
- ২০ মিনিট ফোটানো হয়ে গেলে আপনি ঢাকনাটা খুলে দিন, দেখবেন রসগোল্লা গুলো প্রায় দিগুণ হয়ে গেছে ।
- একটা রসগোল্লা তুলে দুটো আঙ্গুল দিয়ে টিপে দেখে নিন ওটা ঠিক ঠাক রান্না হয়েছে কিনা। ঠিক রান্না হলে ওটা নরম তুলতুলে হয়ে যাবে, একটু আঙুলের চাপে চুপসে যাবে, চাপ শিথিল করলে আবার ফুলে উঠবে। রসগোল্লার গাগুলো একটু ফেটে ফেটে যাবে। আপনার রান্না শেষ!
- স্টোভ বন্ধ করুন, রান্না প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ১০০ মিলি জল ফুটন্ত রসে ঢেলে দিন। কিন্তু রসগোল্লাগুলো ওই গরম রসে থাকতে দিন প্রায় ২-৩ ঘন্টা। বেশিক্ষন রাখলে ক্ষতি নেই। আপনার রসগোল্লা খাওয়ার জন্য তৈরি।
রসগোল্লা রান্না দেখতে সহজ কিন্তু একটা জটিল পদ্ধতি, প্রথমবারে আপনি তেমন সফল নাও হতে পারেন, তাই বার দুই তিনেক আপনাকে চেষ্টা করতে হতে পারে।
এই পোস্টটির ইংরেজি ভার্সন দেখতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন
Post a Comment